মাল্যবান
জীবনানন্দ দাশ
১৯৪৮-এর আর্দ্র গরমে লেখা পুরো মাল্যবান উপন্যাসটি জুড়েই অপ্রেমের ভারী শীত! সেই নীল শৈত্য, সেই বিষণ্ণ ভার পাঠকের গহনে এত অনিবার্যভাবে চারিয়ে দেন জীবনানন্দ—অথবা মাল্যবান—পাঠক আমূল শিহরিত হয়ে ওঠেন। এমনিতেই এ-উপন্যাসে বড্ড তাড়াহুড়োর ছাপ, বানান বা ব্যাকরণের স্খলন ঘটছে বারংবার, শূন্যস্থান ছেড়ে রাখছেন পরে কিছু লিখবেন বলে—বোঝাই যাচ্ছে, পাণ্ডুলিপিগুলির পরিমার্জনা করবেন এমন পরিকল্পনা তাঁর আছে। মৃত্যুর আগে তা আর হয়ে ওঠেনি। এই অপরিমার্জিত মাল্যবান খাতাগুলি থেকে নেমে সরাসরি পাঠকের সামনে এসে দাঁড়ালে পাঠক কিছুটা অপ্রস্তুতও হয়ে পড়েন বটে। উপন্যাসটি পড়তে বসে তিনি মাল্যবান পাঠের জন্য নিজেকে নতুন করে তৈরি করে নিতে বাধ্য হন। এবং সে-প্রস্তুতির শর্ত হিসাবেই এর প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি শূন্যস্থান, প্রতিটি ইঙ্গিত, এমনকী প্রতিটি স্খলনকেও বুঝে নিতে মূলপাঠকে অনুসরণ করাটা আমাদের কাছে জরুরি হয়ে ওঠে।
জীবনানন্দ দাশের ১২৫ বছরে মাল্যবান-এর পাণ্ডুলিপির এই মূল-অনুসারী পাঠ প্রকাশ করে প্রতিক্ষণ তার জীবনানন্দ-কাজের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।
প্রকাশনা প্রতিক্ষণ [] বাকি তথ্য পেজের নিচে
Compilation and Illustration
Jibanananda Das
Publisher
Pratikshan
ISBN
978-93-94205-73-4
Other Details
১৯৮ পৃষ্ঠা। হার্ডব্যাক।
Category
উপন্যাস
Tag
Malyaban