গণহত্যার রাজনীতি: রাষ্ট্র দল সমাজ
রূপম চট্টোপাধ্যায়
স্বাধীন ভারতে যাঁরা গণহত্যার বলি ও বিনা বিচারে জেলে বন্দি তাঁদের ৮৪ শতাংশের বেশি গরিব-ও প্রান্তিক মানুষ। আর আছেন, জনগণের পক্ষে দাঁড়ানোর মতো ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক মতাদর্শের ধারকরা। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকলেই নকশালপন্থীদের দেশের আভ্যন্তরীণ প্রধান বিপদ বলে চিহ্নিত করেছেন। কারণ জল-জঙ্গল-জমির অধিকার ও খাদ্য-স্বাস্থ্য-শিক্ষা- কর্মসংস্থান এবং পরিবেশের গণতান্ত্রিক বুনিয়াদি প্রাপ্যগুলি স্বাধীনতার অমৃতকালেও দেশের কাছে অধরা। তাই মানুষের প্রতিবাদের কণ্ঠরোধে গণহত্যা ও বিনা বিচারে জেলে বন্দি করে রাখাই রাষ্ট্রের প্রধান অবলম্বন। আজ থেকে একশ বছর আগে লেনিন তাঁর রাষ্ট্র ও বিপ্লবের আলোচনায় বলেছেন "শাসক শ্রেণির কোন কোন ব্যক্তি পার্লামেন্টের মাধ্যমে জনগণকে দমন-পেষণ করতে পারবে তা কয়েক বছর অন্তর একবার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটি কেবল পার্লামেন্টিয় নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের ক্ষেত্রে নয়, সবথেকে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে বুর্জোয়া সংসদীয় ব্যবস্থার প্রকৃত মর্মার্থ।” এই ভাবনার যারা শরীক তাঁদের কাছে ২০১৯ সালে সংসদে বিজেপির ৮৮ শতাংশ, কংগ্রেসের ৮৪ শতাংশ, তৃণমূলের ৯১ শতাংশ ও সিপিএমের ৬৭ শতাংশ সাংসদ কেন ক্রোড়পতি বা এক বছরেই ২০২২-২৩ এই অসাংবিধানিক ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে বিজেপি ১২৯৪.১৫ কোটি কংগ্রেস ১৭১ কোটি আর তৃণমূল কংগ্রেস ৩২৫ কোটি টাকা কেন পায় তা দুর্বোধ্য নয়।
প্রকাশক: সহচর [] বাকি তথ্য পেজের নিচে
Author
Rupam Chattopadhyay
Publisher
Sahachar
Other Details
২১৬ পৃষ্ঠা। পেপারব্যাক।
Category
সমাজ-রাজনীতি-দর্শন, ইতিহাস
Tag
Ganahatyar Rajniti: Rashtra Dal Samaj