এবং জলার্ক চারু মজুমদার সংখ্যা (২৪টি বই)
এবং জলার্ক চারু মজুমদার সংখ্যা ১ থেকে ২৮ (২, ৪, ৫, ১৫—সংখ্যাগুলি পাওয়া যায় না)
'জলার্ক' পত্রিকা থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে ১৯৯৭ থেকে প্রথমে 'অধুনা জলার্ক' ও তার পর থেকে 'এবং জলার্ক' নামে নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে আলোচ্য পত্রিকাটি, স্বপন দাসাধিকারীর সম্পাদনায়। শুরুর ঘোষণা ছিল "আমরা চেষ্টা করে চলেছি আমাদের দরিদ্র পদযাত্রাকে জীবন ও শিল্পের শ্বাশ্বত প্রেক্ষাপটের দিকে, তার মার্ক্সবাদী মূল্যায়ণের দিকে অগ্রসর করে দিতে।" প্রথম থেকেই পত্রিকাটি অন্যধারার পাঠকের আগ্রহ টেনে নিয়েছিল তার সুচিন্তিত বিশেষ সংখ্যা ও ক্রোড়পত্রগুলির জন্য, সমরেশ বসু থেকে কৃষণ চন্দর, সাজ্জাদ জহির থেকে ওয়রওয়র রাও, মণিভূষণ ভট্টাচার্য, গুঁগি ওয়া থিওংগো, উত্তর আধুনিকতা, গণসঙ্গীত, প্রগতি লেখক সঙ্ঘ, দেশব্রতী পত্রিকা সংকলন - অনেকগুলি মূল্যবান কাজ করেছেন এঁরা। কিন্তু গত এক দশকের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে যে কাজটি করে চলেছে পত্রিকাটি, তা বাংলার নয় শুধু, ভারতের সাময়িকীর ইতিহাসে বিরল। ২০০৯-এ প্রথম বের হয় 'এবং জলার্ক'-র চারু মজুমদার প্রথম সংখ্যা। তখনও হয়তো তাঁরা ভাবতে পারেন নি কী বিপুল আকার ও পরিসর নিতে চলেছে এই কাজটি। ২০২১-র মার্চ মাসে বেরিয়েছে এর ২২ নম্বর সংখ্যাটি, অর্থাৎ প্রতি বছর দু'টি করে সংখ্যা নিয়োজিত থেকেছে চারু মজুমদারকে কেন্দ্রে রেখে নকশালবাড়ি ও তৎপরবর্তী কমিউনিস্ট বিপ্লবী আন্দোলনের তথ্যচর্চা ও বিশ্লেষণে। একদিকে ডুবুরির মতো খুঁজে খুঁজে সংকলিত করেছেন দলিল দস্তাবেজ ও আখ্যান, অন্যদিকে জেলাওয়ারি ভাবে ঘুরে ঘুরে নিরলসভাবে তুলে এনেছেন আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিচিত ও অপরিচিত মানুষদের স্মৃতিচারণ/সাক্ষাৎকার। বহু অজানা কিন্তু জরুরি তথ্য সামনে এসেছে পাঠকদের। বিশেষ করে গবেষকদের কাছে ওই বাইশটি সংখ্যা (এখন অবধি) হয়ে উঠেছে এক নিরবচ্ছিন্ন লেখ্যাগার।এতটাই, যে এই সংখ্যাগুলিকে বাদ রেখে কেউ আজকে সেই সময়ের ইতিহাসচর্চার কথা ভাবতেও পারেন না। প্রায় নীরবে, প্রচারের আলোর বাইরে থেকে এই বিরাট উদ্যোগ পত্রিকাটিকে নিঃসন্দেহে বিশেষ সম্মানের দাবিদার করে তুলেছে।
প্রকাশক এবং জলার্ক [] বাকি তথ্য পেজের নিচে
Editor
Swapan Dasadhikari
Publisher
Ebong Jalarka
ISBN
Other Details
২৪ টি বই। পেপারব্যাক।
Category
দর্শন - সমাজ - রাজনীতি - অর্থনীতি, ইতিহাস, স্মৃতিকথা-জীবনী-আত্মজীবনী
Tag
Charu Majumdar Snkhya