সােমনাথ হাের
কাকে আমরা ছবি বলে জানব, কাকে নয় ? প্রকৃত শিল্পের সঙ্গে কোন সে পথে দেখা হয়ে যাবে এক সাধারণ শিল্পরসিকের ? আধুনিক শিল্পমানচিত্রে রবীন্দ্রচিত্র কতখানি প্রাসঙ্গিক? এসব গূঢ় অনুসন্ধানের পাশাপাশি রামকিঙ্করের মৃত্যুদিনে শিল্পীকে নিয়ে স্মরণাতীত স্মরণ। কেমন ছিল প্রাক স্বাধীনতার বাংলাদেশ ও স্বাধীনােত্তর কলকাতার জলবাতাস, মানুষজন ? শিল্পপথে শান্তিনিকেতন তাঁকে কী বার্তা দিয়ে গেল? ভালােবাসা, শুধুমাত্র মানুষে মানুষে নয়, ছড়িয়ে সমগ্র জীবজগতে। প্রয়ােজন এক শিল্পীমনের নিরপেক্ষ, নিরহং পর্যবেক্ষণের। আত্ম-জীবনের এইসব খণ্ডাংশই অদৃশ্য এক সুতাের বাঁধনে জোড়া লেগে রচিত হয়েছে এই বই— স্মৃতি ও বােধের অনবদ্য কোলাজ।
এই গ্রন্থপটের সমগ্রে স্মৃতির আলপনা। বইটি চিত্রীর নিজস্ব শিল্পভাবনা ও জীবনকথার রসে সমৃদ্ধ। বাল্য ও কৈশাের বিবিধ ঘাত প্রতিঘাতের আভায় রঙিন, পাশাপাশি পরিণত বয়স বিশুদ্ধ আদর্শের ছটায় সজীব। রােমন্থনে এক হয়ে গেছে দুই বাংলা আর সেই সবুজ ইশারাকে স্পর্শ করে কখন যেন এসে গেল লাল কাঁকরের শান্তিনিকেতন। শব্দে রঙে রূপে ও শিল্পীর সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণা-জারিত এই বই এক অর্থে শিল্পী সােমনাথ হােরের ব্যক্তিগত আয়না। পর্দা সরে যেতে ভােরের আলাে এসে পড়ল কাচে, সাক্ষাৎ হল এক প্রকৃত শিল্পীমনের সঙ্গে...
Comments